১। মাঠ রেকর্ড, (২) তসদিক, (৩) ৩০ ধারা/ আপত্তি (৪) ৩০ ধারা/ ৩১ ধারা আপীল (৫) চূড়ান্ত যাঁচ (৬) চূড়ান্ত প্রকাশনা (ছাপা খতিয়ান/ নকসা বিক্রয়) আপনি সচেতন হোন সরকারকে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করুন (ক) জরিপ কর্মকর্তার কার্যক্রম ও অবস্থানঃ (১) স্তর-১ মাঠ পর্যায়ের আমিন ক্যাম্পে অথবা ইউনিয়ন পরিষদে অবস্থান করবেন। তিনি জমির প্রাথমিক রেকর্ড তৈরীতে কিস্তোয়ার, খানাপুরী এবং বুঝারতের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কোন স্যায়িত খতিয়ান প্রদান করতে সমর্থ নহেন। তিনি ভূমি মালিককে একটি খসড়া মাঠ পর্চা প্রদান করবেন। (২) স্তর-২ সাধারণত একজন কানুনগো/ উপসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার হিসাবে জমির প্রাথমিক তৈরীকৃত রেকর্ড কে দলিলপত্রাদি দেখে সত্যায়িত (তসদিক) করে রেকর্ড তৈরির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তসদিক শেষে ৩০ কর্মদিবস জনগণের পরীক্ষার নিমিত্তে তসদিককৃত রেকর্ড জনগণকে দেখানোর জন্য খোলা রাখা হয। এই রেকর্ডে কোন আপত্তি থাকলে পরবর্তী স্তরে নিষ্পত্তি করা হয়। (৩) স্তর-৩ তসদিককৃত রেকর্ডে কোন আপত্তি থাকলে ৩০ বিধি অনুযায়ী আপত্তি দাখিল করা যায়। আপত্তি অফিসার বাদী বিবাদীকে নোটিশ মারফত তলব করে শুনানী নিয়ে আপত্তি নিষ্পত্তিপূর্বক তসদিক রেকর্ড প্রয়োজনে সংশোধন করেন। (৪) স্তর-৪ ৩০ বিধির আপত্তি নিষ্পত্তির পর কোন অভিযোগ বা আপত্তি থাকিলে ৩১ বিধিতে আপিল দায়ের করা যায়। আপিল অফিসার থানা পর্যায়ে শুনানী নিয়ে নিষ্পত্তিপূর্বক প্রয়োজনে রেকর্ড সংশোধন করেন। (৫) স্তর-৫ পরবর্তীতে সেটেলমেন্ট অফিসার বিধি অনুযায়ী চূড়ান্ত রেকর্ড প্রকাশ করেন। (খ) জনসাধারণের করণীয়: (১) স্তর-১ মাঠের আমিনের নিকট সকল সংশ্লিষ্ট দলিল পত্রাদি দাখিলা, কোর্টের রায় ইত্যাদি নিয়ে হাজির হয়ে তার দাবী অনুযায়ী রেকর্ড তৈরীতে / সংশোধনে সহায়তা করবেন। আমিনকে এই কারণে কোন ফি প্রদানের বিধান নেই। (২) স্তর-২ জনগণ তসদিক কর্মকর্তার নিকট তসদিকের সময়ে মাঠে আমিনের নিকট প্রদর্শিত দলিল পত্রাদি এবং মাঠ পরচা নিয়ে হাজির হবেন। জমির পরিমাণ কম-বেশী হলে ৫/- টাকা বদর ফি দিয়ে সংশ্লিষ্ট দাগের পুন:পরিমাপ করানো যাবে। (৩) স্তর-৩ তসদিককৃত রেকর্ডে কোন আপত্তি থাকলে ৩০ বিধি মতে খসড়া তসদিককৃত খতিয়ান দেখানোর সময়ে (ড্রাফট প্রকাশনা) ৩০ বিধিতে আপত্তি দায়ের করা যাবে। আপত্তি শুনানীকালে বাদীর অবশ্যই হাজির থাকতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট দলিল পত্রাদি দাবীর স্বপক্ষে দেখাতে হবে। (৪) স্তর-৪ একইভাবে ৩০ বিধির আপত্তির বিরুদ্ধে আপত্তি শুনানীল রায় জারীর তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে সইমুহুরী নকল তুলে ৩১ বিধি অনুযায়ী আপিল করা যাবে। (৫) স্তর-৫ খতিয়ান এবং ম্যাপ চূড়ান্ত প্রকাশের পর নির্ধারিত মূল্যে ভূমি মালিক প্রকাশনা ক্যাম্প থেকে ক্রয় করতে পারবেন। (৬) স্তর-৬ চূড়ান্ত প্রকাশনার পর কোন ত্রুটি বিচ্যুতি থাকলে দেওয়ানী আদালতে বিবিধ কেস দায়েরপূর্বক রেকর্ড সংশোধনের সুযোগ থাকে। (গ) সমস্যা দেখা দিলে করণীয়: (১) স্তর-১ সময়মতো মাঠে হাজির না হলে এবং প্রকৃত মালিকের নামে মাঠে রেকর্ড না হলে তসদিক কালে ডিসপুট দেওয়া যাবে। (২) স্তর-২ তসদিকের খসড়া প্রকাশনার সময়ে ৩০ বিধিতে থানা সেটেলমেন্ট অফিসে আপত্তি দায়ের করা যায়। (৩) স্তর-৩ তসদিক কালে জমির মাপ কম বেশী হলে বদর ফি দিয়ে মাপ সঠিক কিনা না নিশ্চিত হওয়া যায়। (৪) স্তর-৪ আপত্তি বা আপিল কেসের রায় এবং নকল নেওয়ার জন্য নির্ধারিত হারে ফি দিতে হবে। (৫) স্তর-৫ মাঠ পর্যায়ে রেকর্ডের সমস্যা মাঠেই সমাধান করা সহজতর। (৬) স্তর-৬ জটিল কোন সমস্যা দেখা দিলে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা যাবে। (৭) স্তর-৭ জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার সমস্যার সমাধান দিতে না পারলে পরিচালক (ভূমি রেকর্ড) এর নিকট আবেদন করা যাবে এবং ভূমি রেকর্ড জরিপ অধিদপ্তর, তেজগাঁও ঢাকা অফিসের মনিটরিং সেলকে অবহিত করা যাবে। |